১. চন্দন থেকে কাব্যের জার্নিটা কেমন ছিলো?
উ: কাব্যের অনেকটা আগে থেকেই ছিলো আমার মধ্যে। আসলে গল্পটা আমার মতো হাজার হাজার চন্দনের গল্প, তাই রিলেট করতে খুব একটা অসুবিধে হয়নি। পরিচালক স্বাধীনতা দেবার ফলে অনেকটা নিজেকে দিতে পেরেছি। একটা গল্পের মধ্যে নিজের জীবনের কিছু ইমোশন বা ঘটনা মিশিয়ে দিলে, তা ভীষণ প্রাণবন্তই হয়। আর জার্নিটাও হয় খুব স্মুথ। এক্ষেত্রেও তাই হয়েছে।
২. পরিচালক শঙ্খদীপবাবুর সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন?
উ: ব্যক্তি শঙ্খদীপদাকে অনেকদিন ধরেই চিনি। উনি এর আগে বেশ কিছু ফেস্টিভ্যাল ছবি বানিয়েছেন, যেগুলোর কিছু আমি দেখেছি। বেশ অন্যরকম লেগেছে। কিছু কিছু কাজ আনন্দ দেয়, কিছু কিছু কাজ দেয় শান্তি। এই কাজটা করে শান্তি পেয়েছি। ঘরোয়া পরিবেশে নিজেদের লোকজনের মধ্যেই নিজের অভিনয় সত্তাকে তুলে ধরতে পেরেছি, এটা অনেক বড়ো একটা পাওনা।
৩. থিয়েটার না সিনেমা?
উ:- অভিনয়। মাধ্যমটা যাই হোকনা কেনো! আমিতো একটা সময় পথনাটক ও করেছি। ভবিষ্যতে যাত্রা করারও ইচ্ছে আছে। আসলে খিদেটা দরকার, খাবার ভাত না রুটি সেটা ম্যাটার করেনা! বেঁচে থাকতে গেলে দুটোরই প্রয়োজনীয়তা আছে। এক্ষেত্রেও কোনো একটিকে ছাড়া আমার সাধনা অসম্পূর্ণ থেকে যাবে।
৪. অভিনয় জীবনের অনুপ্রেরনা কে?
উ:- সেই সকলেই/সবকিছুই যা থেকে আমি প্রতিনিয়ত শিখি। বিভিন্ন বয়সে বিভিন্ন মানুষের থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছি। আসলে থিয়েটারকে ভালোবাসা থেকে অভিনয়ে আসা, কখনো কোনো ব্যক্তিকে দেখে অভিনয়ে আসিনি। সেক্ষেত্রে থিয়েটার থেকে অনুপ্রাণিত বলতেই পারেন। আর অনুপ্রাণিত অভিনেতা/অভিনেত্রীর তালিকায় অনেকেই আছেন, যেমন উত্তম কুমার, ছবি বিশ্বাস, তুলসী চক্রবর্তী, ভানু বন্দোপাধ্যায়, রবি ঘোষ, উৎপল দত্ত, দিলীপ কুমার, নাসিরউদ্দিন শাহ, শাবানা আজমী, ইরফান খান, নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী, বমন ইরানি এবং আরো অনেকে।
৫. দু চার কথা "তুমি রবে নীরবে" সম্বন্ধে?
উ:- যা বলার আপনারাই বলবেন। আসলে আমাদের বলতে চাওয়া কথাগুলির একটি জ্বলন্ত দলিল এই সিনেমাটি। "তুমি রবে নীরবে" একটা সুস্বাদু তরকারি, যার মধ্যে টক, ঝাল, মিষ্টি সবটাই পরিমান মতো রয়েছে, বাকিটা দর্শক টেষ্ট করার পর বলবেন।
চন্দন অভিনন্দন
উত্তরমুছুনধন্যবাদ।
উত্তরমুছুন